Header Ads

পৃথিবীর ৪ টি সবচেয়ে রহস্যময় স্থান


আমাদের বিস্মিত করার জন্যে পৃথিবীর ভাণ্ডার সবসময় পূর্ণ থাকে। পৃথিবীর প্রতিটি কোণেই লুকিয়ে আছে ব্যাখ্যাবহুল এমন কিছু প্রাকৃতিক বিস্ময় যা আমাদেরকে পৃথিবী বিজ্ঞান সম্পর্কে জানার জন্য কিছুটা হলেও উদ্বুদ্ধ করে তোলে। এই স্থানসমূহের মধ্যে কিছু স্থানে পৌঁছানো মোটামুটি অসাধ্য সাধনের সমান, আর কিছু স্থান সারা বিশ্বের পর্যটকদের গন্তব্যস্থল। এই সকল স্থান বিজ্ঞানীদের ব্যস্ত রাখে উত্তর খোঁজার কাজে, আর বিশ্ব আমাদের প্রতিনিয়ত বিস্মিত করে সেই সকল রহস্যের উদঘাটন করে।





পৃথিবীর ৪ টি সবচেয়ে রহস্যময় স্থান
1. ব্রিজওয়াটার ট্রায়াঙ্গেল:-
ব্রিজওয়াটার ট্রায়াঙ্গেল, দক্ষিণ-পূর্ব ম্যাসাচুসেটসে অবস্থিত এবং এটি প্রায় 200 বর্গমিটার জুড়ে ছড়িয়ে আছে। আপনি যদি অতিপ্রাকৃতিক শক্তি অনুভব করতে চান তবে এই রহস্যময় জায়গাটি আপনার জন্য। এই জায়গাটিকে জুড়ে রয়েছে অসংখ্য ভৌতিক ঘটনা । 1970 সালে, স্থানিয় লোকজন লম্বা, লোমশ কিছু অদ্ভুত প্রাণীদের এই জায়গায় ঘুরেতে দেখে, সেই সময় এই স্থানটির আলোচনায় উঠে আসে। এই জায়গা জুড়ে অনেক রহস্যময় গল্প,এখানকার স্থানীয় মানুষদের মধ্যে প্রচলিত আছে।
2. কুসংস্কার পর্বতমালা :-
অস্ট্রিপশন পর্বতমালা ফিনিক্সের পূর্ব এরিয়ায় অবস্থিত এই রহস্যময় জায়গাটি । 1800 এর কাহিনী অনুযায়ী, সেখানে একটি জার্মান অধিবাসী বাস করত, যার নাম ছিল জ্যাকব ওয়াল্টস। এই জায়গাতে তিনি পাহাড়ের ভিতরে একটি সোনার খনি আবিষ্কার করেছিল। কিন্তু বলা হয়েছে যে তিনি কখনোই কারো সঙ্গে এই পাহাড়ের সম্পর্কে আলোচনা করেননি, পরবর্তী কালে এই জায়গায় বহুবার অভিযান করা হয়েছে কিন্তু সোনার খনি কখনোই পাওয়া যায় নি। স্থানীয় লোকজন বলে যে সোনার খনি অনুসন্ধানে যারা প্রাণ হারিয়েছে তাদের আত্মা পাহাড়টিতে ঘুরে বেড়ায় এবং সোনার খনির পাহারা দেয়।
3. মিশিগান ট্রায়াঙ্গেল:- 
মিশিগান ত্রিভুজটি লেইকি মিশিগানের মাঝখানে অবস্থিত এবং এটি ভৌগলিক ত্রিভুজগুলির একটি। এই জায়গাটির রহস্যময় স্থান হিসাবে সারা বিশ্বে পরিচিত, এই রহস্যময় জায়গাটিকে জুড়ে রয়েছে বিভিন্ন বিমান ও সমুদ্রিক জাহাজের রহস্যজনক অন্তর্ধানের গল্প। এই স্থানটির সাথে সম্পর্কিত, সবচেয়ে বিখ্যাত গল্প নর্থওয়েপ এয়ারলাইন্স ফ্লাইট ২৫০১এর, যা ২৩ শে জুন, ২৩ তারিখে ক্র্যাশ করা হয়েছিল। এই বিমানটি ৫৮ ​​জন যাত্রী নিয়ে, মধ্যরাতে খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে লেক মিশিগানের উপর দিয়ে উড়ছিল। বিমানটি কোনও বিশেষ কারণ ছাড়াই হ্রদে পড়ে গিয়েছিল, যদিও পরবর্তীতে বিমানটি ভাল অবস্থায় পরে পাওয়া গিয়েছিল কিন্তু কোনও মানুষের দেহাবশেষ পাওয়া যায়নি।
 4. লেক অজিকুনি :-
লেক অজিকুনি কানাডায় অবস্থিত । জো লেবেল নামে একজন ব্যক্তি 1930 সালে রিপোর্ট করেন যে, হ্রদটির কাছাকাছি, যে একটি বিচ্ছিন্ন গ্রাম ছিল সেখানে কোন গ্রামবাসীকে দেখা যাচ্ছে না, এমনকি কোনো পোষা প্রাণীও দেখা যাচ্ছে না। তারপর তিনি তন্ন-তন্ন করে অনুসন্ধান করেছিলেন, কিন্তু তিনি কাউকেই খুঁজে পাননি। তিনি দেখাছিলেন সেই গ্রামে সমস্ত ঘর এবং দোকান-পাট খোলা আছে কিন্তু মানুষ গুলি যেন হঠাৎ গায়েব হ্যে গেছে। তবে অনেকে বলে থাকেন যে গ্রামের লোকজন হ্রদে কিছু অদ্ভুত আলো দেখতে পেয়ে ভয় পেয়ে গ্রামে পালিয়ে যায় কিন্তু তারা যদি সত্যিই পালিয়ে যায় তাহলে তারা গেলো কথায়? সেটা আজ রহস্য হয়ে আছে।
এই রকমই অজানা ও রোমাঞ্চকর ঘটনা জানতে আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন।
ধন্যবাদ…………।

No comments

Thanks

Powered by Blogger.