Header Ads

পৃথিবীর সবচেয়ে ‘ভয়ঙ্কর সুন্দর’ ৫ টি প্রাণী কি কি?

পৃথিবীতে নানা ধরণের ভয়ঙ্কর প্রাণী রয়েছে। কোন টির চেয়ে কোনটি কম নয়। এর মধ্য থেকে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর প্রাণী খুজে বের করা সত্যিই অনেক কঠিন ব্যাপার। সৌন্দর্য এবং বিপদজনক উভয় দিক থেকেই সবচেয়ে এগিয় থাকা পাঁচটি প্রাণীর বিষয়ে এখানে তুলে ধরা হলো। যাকে ‘ভয়ঙ্কর সুন্দর’ বলা যায়!

১. বক্স জেলীফিশ: ধারণা করা হয়, পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত প্রাণী হচ্ছে বক্স জেলীফিশ। ১৯৫৪ সালে এই বক্স জেলীফিশ এর আক্রমণে রেকর্ড ৫,৫৬৭ মৃত্যু হয়েছে। বিষাক্ত প্রাণীদের মধ্যে একে বেশী বিনাশকারী হিসেবে ধরা হয়। এটি আক্রমণ করার সাথে সাথে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে হার্ট, নার্ভ সিস্টেম ও শরীরের কোষকে অকেজো করে মৃত্যুবরণ করায়। এই প্রাণী আক্রমণ করলে বাঁচার সম্ভবনা ০.১ %। এই বক্স জেলীফিশ এশিয়া ও অষ্ট্রেলিয়ায় পাওয়া যায়।
২. কিং কোবরা: কিং কোবরা পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা (১৮.৫ ফিট) বিষাক্ত প্রাণী। এই কিং কোবরা সধারনত অন্যান্য বিষাক্ত সাপ খেয়ে জীবন ধারণ করে থাকে। এই সাপের একটি কামড়ে মানুষের মৃত্যু হতে পারে। এই সাপের কারণে পৃথিবীর স্থলভাগের সবচেয়ে বড় প্রাণী হাতিকে ৩ ঘন্টার মধ্যে মৃত্যু ঘটাতে পারে। এটি আমাদের দক্ষিন এশিয়ার গভীর জঙ্গলে বসবাস করে।
৩. নীল আংটি অক্টোপাস: এই বিষাক্ত প্রাণীটি খুবই ছোট। আকারে একটি গলফ বলের সমান হবে। আমাদের গ্রামাঞ্চলে একটা প্রবাদ আছে “ছোট মরিচে ঝাল বেশী” এ প্রাণীর ক্ষেত্রেও সেটা প্রযোজ্য। কেননা নীল আংটি অক্টোপাস এর মধ্যে যে পরিমান বিষ থাকে তা ১ মিনিটে ২৬ টি পূর্ণ বয়স্ক মানুষকে মারতে সক্ষম। এটি প্যাসিফিক সাগর, জাপান ও অষ্ট্রেলিয়াতে পাওয়া যায়।
৪. পাথুরে মাছ: এটি বিশ্বের সুন্দর মাছ প্রতিযোগীতায় প্রথম না হলেও বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত মাছের মধ্যে প্রথম। পাথর মনে করে এই মাছের উপর একবার পা ফেললে শেষ। কারণ পা ফেলার সাথে সাথে ইলেকট্রিক শকের সাথে সাথে শরীর প্যারালাইসড হয়ে যেতে পারে। আশার কথা হল এটি বাংলাদেশে নাই, তাই এই আজব প্রাণী নিয়ে টেনশন না করলেও চলবে।
৫. বিষাক্ত বান মারা ব্যাঙ: দক্ষিন আফ্রিকার রেইন ফরেস্টের মধ্যে দিয়ে হাটতে গেলে এই বিষাক্ত রূপবতী ব্যাঙ চোখে পড়বে। এই ব্যাঙকে পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত প্রাণী বলে অনেক গবেষক মেনে নেন। এটি ১০ সেকেন্ডে যে পরিমান বিষ নিঃসরণ করে তাতে সেই বিষ দিয়ে ১০ টি মানুষ অথবা ২০,০০০ ইঁদুরকে মারতে সক্ষম।

No comments

Thanks

Powered by Blogger.